Zakir_Hossain
Rice Husking Mill in Bangladesh | চাল মিল/ চাতাল
Workers are drying paddy using traditional methods in a yard at a husking mill at Ashuganj, Brahmanbaria
চাতালকর্মীদের জীবন চাতালের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাদের আলাদা কোন জীবন নেই, নেই কোন স্বপ্ন। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেই তাদের জীবন যায়। নেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নেই কোন বিনোদনের ব্যবস্থা। মালিকদের কাছে তারা অনেকটা দাসীর মতো। স্বল্প মজুরীতে এতো পরিশ্রমের পরো তারা তাদের সংসারে কারো মুখে হাসি ফোটাতে পারে না, ফলে তারা সবসময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে।
শিশু থেকে বয়স্ক নারী সব বয়সের মানুষ কাজ করে চাতালে। সারাদিনের অমানবিক পরিশ্রমের পর তাদের জীবনে বিনোদনের কিছুই নেই, তারপরও তারা হাসে, একে অপরের সাথে খুনসুটি করে। তারা জানে এটাই তাদের জীবন, এখান থেকেই তাদের আনন্দ খুঁজে নিতে হবে ।
© Zakir Hossain
☎ +8801611266162
📧 zakir1346@gmail.com
☑ Follow Facebook ||
www.facebook.com/zakirhossain1346
☑ Follow Instagram ||
The life of the Chatal workers is limited to the boundaries of the Chatal. They have no separate life, no dreams. Their lives are spent working hard all day. No adequate rest, no recreation. To the Chatal owner they are much like maids. After working so hard for a low wage, they can't put a smile on anyone's face in their family, so they are always mentally depressed & upset. This is how it is passed down through the generations.
From children to older women, people of all ages work in the Chatal. There is nothing entertaining in their lives after a day of inhuman toil, yet they laugh, grumble at each other. They know this is their life, they have to find their happiness from here.
বাজারে চাউলের যোগান দিতে ঢেঁকি নির্ভরতা থেকে চাতালে ধান শুকানোর জন্য অভ্যস্থ হতে থাকে। ব্যবহার বাড়তে থাকে চাতালের। দিন যেয়ে দিন এসে ঢেঁকি বিকল হয়ে প্রচলন আসে হাসকিং মিলের। এই মিলে চাতালের ব্যপক ব্যবহার হতে থাকে। এই মিলে দেশের স্থানীয় ধনীক শ্রেনী, বড় বড় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে লাগলেন। দেশের আনাচে কানাচে হাসকিং মিল তৈরী হলো। চাতাল তখন মানুষের খুব কাছে পৌছে গেল। যে কারণে দেশে এখন প্রায় ৪০০ টি হাসকিং মিল আছে বলে জানা যায়। যদিও এই মিল মালিকেরা এখন এই মিলের ডিজিটাল সংস্করণ হিসেবে অটো রাইচ মিলের দিকে ঝুকছে। অনেকে হাসকিং মিলের ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়েও নিয়েছে। অটো মিলে চাতালের তেমন ব্যবহার নেই বললেই চলে। ধান থেকে চাউলের যে কারবার তা ঘরে ঘরে ঢেঁকি থেকে হাসকিং মিল এবং তা থেকে অটো রাইচ মিলে এসে ঠেকেছে। কাঠের ঢেঁকির ধান কল আজ অটো মিলে রূপান্তরীত হতে গিয়ে মিলে পরিণত হয়েছে।
হাসকিং মিল এবং চাউলের চাতালের সাথে জড়িয়ে আছে মধ্যম ও নি¤œ মধ্যম শ্রেণীর মানুষের রুটি-রুজির বিষয়টি। দেশের বিপুল সংখ্যক হতদরিদ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি আজ জড়িয়েছে হাসকিং মিলের চাউল উৎপাদনের প্রয়োজনে। দিন বদলে হাসকিং বদলে যাচ্ছে। আসছে অটো রাইচ মিল। অটো রাইচ মিলের দাপটে মানুষ শ্রম হারাচ্ছে। আবার বিলুপ্ত হচ্ছে ঢেঁকি শিল্পের। ঘরে ঘরে এখন আর ঢেঁকি পাঁড়ের শব্দ যেমন শোনা যায় না। আবার মেয়েদের গানের সুরে সুর মিলিয়ে চাউল কোটার সংস্কৃতিও মিলে যাচ্ছে দিন দিন।
চাতালের শ্রমিকদের মধ্যে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। তবে এখানে নারীরা পরিশ্রম বেশি করে কম মজুরী পেয়ে থাকে।
Rice Husking Mill in Bangladesh | চাল মিল/ চাতাল
Workers are drying paddy using traditional methods in a yard at a husking mill at Ashuganj, Brahmanbaria
চাতালকর্মীদের জীবন চাতালের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাদের আলাদা কোন জীবন নেই, নেই কোন স্বপ্ন। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেই তাদের জীবন যায়। নেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নেই কোন বিনোদনের ব্যবস্থা। মালিকদের কাছে তারা অনেকটা দাসীর মতো। স্বল্প মজুরীতে এতো পরিশ্রমের পরো তারা তাদের সংসারে কারো মুখে হাসি ফোটাতে পারে না, ফলে তারা সবসময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে।
শিশু থেকে বয়স্ক নারী সব বয়সের মানুষ কাজ করে চাতালে। সারাদিনের অমানবিক পরিশ্রমের পর তাদের জীবনে বিনোদনের কিছুই নেই, তারপরও তারা হাসে, একে অপরের সাথে খুনসুটি করে। তারা জানে এটাই তাদের জীবন, এখান থেকেই তাদের আনন্দ খুঁজে নিতে হবে ।
© Zakir Hossain
☎ +8801611266162
📧 zakir1346@gmail.com
☑ Follow Facebook ||
www.facebook.com/zakirhossain1346
☑ Follow Instagram ||
The life of the Chatal workers is limited to the boundaries of the Chatal. They have no separate life, no dreams. Their lives are spent working hard all day. No adequate rest, no recreation. To the Chatal owner they are much like maids. After working so hard for a low wage, they can't put a smile on anyone's face in their family, so they are always mentally depressed & upset. This is how it is passed down through the generations.
From children to older women, people of all ages work in the Chatal. There is nothing entertaining in their lives after a day of inhuman toil, yet they laugh, grumble at each other. They know this is their life, they have to find their happiness from here.
বাজারে চাউলের যোগান দিতে ঢেঁকি নির্ভরতা থেকে চাতালে ধান শুকানোর জন্য অভ্যস্থ হতে থাকে। ব্যবহার বাড়তে থাকে চাতালের। দিন যেয়ে দিন এসে ঢেঁকি বিকল হয়ে প্রচলন আসে হাসকিং মিলের। এই মিলে চাতালের ব্যপক ব্যবহার হতে থাকে। এই মিলে দেশের স্থানীয় ধনীক শ্রেনী, বড় বড় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে লাগলেন। দেশের আনাচে কানাচে হাসকিং মিল তৈরী হলো। চাতাল তখন মানুষের খুব কাছে পৌছে গেল। যে কারণে দেশে এখন প্রায় ৪০০ টি হাসকিং মিল আছে বলে জানা যায়। যদিও এই মিল মালিকেরা এখন এই মিলের ডিজিটাল সংস্করণ হিসেবে অটো রাইচ মিলের দিকে ঝুকছে। অনেকে হাসকিং মিলের ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়েও নিয়েছে। অটো মিলে চাতালের তেমন ব্যবহার নেই বললেই চলে। ধান থেকে চাউলের যে কারবার তা ঘরে ঘরে ঢেঁকি থেকে হাসকিং মিল এবং তা থেকে অটো রাইচ মিলে এসে ঠেকেছে। কাঠের ঢেঁকির ধান কল আজ অটো মিলে রূপান্তরীত হতে গিয়ে মিলে পরিণত হয়েছে।
হাসকিং মিল এবং চাউলের চাতালের সাথে জড়িয়ে আছে মধ্যম ও নি¤œ মধ্যম শ্রেণীর মানুষের রুটি-রুজির বিষয়টি। দেশের বিপুল সংখ্যক হতদরিদ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি আজ জড়িয়েছে হাসকিং মিলের চাউল উৎপাদনের প্রয়োজনে। দিন বদলে হাসকিং বদলে যাচ্ছে। আসছে অটো রাইচ মিল। অটো রাইচ মিলের দাপটে মানুষ শ্রম হারাচ্ছে। আবার বিলুপ্ত হচ্ছে ঢেঁকি শিল্পের। ঘরে ঘরে এখন আর ঢেঁকি পাঁড়ের শব্দ যেমন শোনা যায় না। আবার মেয়েদের গানের সুরে সুর মিলিয়ে চাউল কোটার সংস্কৃতিও মিলে যাচ্ছে দিন দিন।
চাতালের শ্রমিকদের মধ্যে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। তবে এখানে নারীরা পরিশ্রম বেশি করে কম মজুরী পেয়ে থাকে।